বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস প্রবেশ পদে নিয়োগের (সহকারী জজ) ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ডি জুরি একাডেমির ২৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থী সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এরমধ্যে প্রথম দশে স্থান পেয়েছেন ০৬ জন।
এটি একাডেমির ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ড, যা পুরো দেশের আইন শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। সাহস জাগানিয়া বিষয় হচ্ছে, ২৬ জনের ১৬ জনই নারী শিক্ষার্থী।
গতকাল রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ডি জুরি একাডেমির প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোঃ ওয়ালিদ রহমান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, “সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের এবং অভিভাবকদের। আমরা শুধু জুডিসিয়ারির মত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুত করেছি।”
এবার ১৭তম বিজেএস পরীক্ষার মেধা তালিকায় প্রথম ১০ এর মধ্যে ০৬ জনই ডি জুরি একাডেমি’র। টপটেনে স্থান পেয়েছেন শেখ সাদলি আল জাদিদ (৩য়), তানজিলা আকতার (৪র্থ), মারুফা ইয়াসমিন (৬ষ্ঠ), ফাইকা তাহজীবা (৭ম), বৈশাখী রানী কর্মকার (৮ম) এবং রবিন মিয়া (১০ম)।
এছাড়াও এর আগে ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকারী মোঃ আশিক উজজামানসহ মোট ৭ জন এবং ১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় ২য় স্থান অধিকারী রাগীব মোস্তফা নাইমসহ মোট ১১ জন সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ডি জুরি একাডেমি থেকে। তবে এবারের ২৬ জন সহকারী জজের অর্জন সত্যিই একটি নতুন মাইলফলক।
আরও পড়ুন: সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ, মনোনীত ১০২
১৭শ বিজেএস পরীক্ষায় ৩য় স্থান অধিকারি শেখ সাদলি আল জাদিদ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, “আইনের সাথে জেনারেলের প্রত্যেকটা বিষয় অনেক ভালোভাবে পড়িয়েছে তারা। মক ভাইভাগুলো আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। আমার তৃতীয় হওয়ার পিছনে আমি মনে করি ভাইভার অবদান অনেক যেটায় ডি জুরি প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে”
১৭শ বিজেএস পরীক্ষায় ৪র্থ স্থান অধিকারি তানজিলা আকতার ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, “যত্নসহকারে ভাইভা ক্লাস ও দীর্ঘ সময় ধরে মক ভাইভা নেওয়ায় এবং অনুপ্রেরণা দিয়ে পাশে থাকার জন্য ডি জুরি পরিবার এর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।”
এ পরীক্ষায় ৩৫তম স্থান অধিকারি তানজিনা এলিন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, “কত শত আত্মত্যাগ, অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের ফসল আজকের এই সাফল্য তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হলো মহান আল্লাহ এবং আমার গর্ভের সন্তান। আমার ১৭শ বিজেএস প্রিলি পরীক্ষার পরের দিনই আমার সি-সেকশন হয়। এমন অবস্থায়ও আমি পরীক্ষা দিয়েছি। ১৪ থেকে ১৭শ জুডিসিয়ারির প্রতিটা ধাপে ডিজুরি ছিলো আমার উপরে ছাতার মতো যার ছায়ায় থেকে আমি আজ আমার স্বপ্ন ছুঁতে পেরেছি। চিরকৃতজ্ঞ থাকবো ডি জুরি একাডেমির কাছে।”
ডিজুরি একাডেমি থেকে ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকারী সহকারী জজ আশিক উজজামান সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, “ডি জুরি একাডেমি সত্যিই অসাধারণ।”
এদিকে, ২০২৩-২৪ বর্ষে ডিজুরি একাডেমি থেকে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ২৭১ জন শিক্ষার্থী আইনজীবী হিসেবে সনদপ্রাপ্ত হয়েছেন। ডি জুরি একাডেমির এই সাফল্য নতুন প্রজন্মের জন্য ন্যায়বিচারের পথে একটি আলোকিত দিশা দেখাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই অর্জনে গর্বিত একাডেমির শিক্ষক এবং পুরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য যে, ডি জুরি একাডেমি আইন বিষয়ে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা এবং বার কাউন্সিল পরীক্ষার জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুত করে থাকে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ৬৯/১, চন্দ্রশিলা সুবাস্তু টাওয়ার, পান্থপথ, ঢাকাতে অনলাইন এবং অন ক্যাম্পাস একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি আইন শিক্ষার্থীদের সেবা দিয়ে আসছে।