বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে ফাঁসির মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমির কারাগারের কনডেম সেল থেকে পলায়নের ঘটনায় অবশেষে মুখ খুলেছে কারা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানান কারা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আবরার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দি কারাগার থেকে পলায়ন সংক্রান্ত সংবাদের প্রতি কারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে কারা কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছে যে, সংশ্লিষ্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দি কয়েদি মুনতাসির আল জেমি গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২ জন বন্দির সঙ্গে একত্রে (৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দিসহ) কারাগারের দেয়াল ভেঙে পলায়ন করে। বিষয়টি নিয়ে ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে সব কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।’
কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ‘সব কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দিসহ ৫১ জন বন্দিকে গ্রেপ্তারপূর্বক কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বন্দিকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্ট অব্যাহত রয়েছে।’
আবরার হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা বিভিন্ন দণ্ডে দণ্ডিত ২২ জন বন্দীর মধ্যে বর্তমানে ২১ জন বন্দী কারাগারে আটক রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এদিকে জেমির কারাগারের কনডেম সেল থেকে পলায়নের ঘটনায় সোমবার গভীর রাতে উত্তাল হয় বুয়েট ক্যাম্পাস। হত্যাকারী জেমির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রাত সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা বুয়েটের শহিদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি পলাশী মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সেখানে সংবাদ সম্মেলন করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।