ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত রিটের নিষ্পত্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে হাইকোর্ট অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে হাইকোর্ট অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট ফটকে পুলিশ তাদের আটকে দেয়া হয়।
মেডিকেল সহকারীরা ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন, এমন অভিযোগে কয়েকশ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন।
তাদের অভিযোগ, ২০১৩ সালে মেডিকেল সহকারীরা ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহারের অধিকার চেয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ১১ বছর ধরে মামলাটি বিচারাধীন। এরপরও আইনি নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে মেডিকেল সহকারীরা অবৈধভাবে এই উপাধি ব্যবহার করছেন।
এই রিটের ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্ট আদেশ দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাদের দাবিগুলো নিম্নরূপ
১। ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত রিটটি প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে স্বৈরাচারের প্রথম টার্মে প্রদান করা হয়।
২। উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী OTC Drug আপডেট করা; এবং রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দন্ডনীয় অপরাধ ঘোষণা করা।
৩। স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসণে-দ্রুততম সময়ে শূণ্যপদে ১০০০০ (দশ হাজার) ডাক্তার নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ষষ্ঠ গ্রেডে চাকুরিতে প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার ডাক্তার নিয়োগ প্রদান করে ডাক্তার চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএস এর বয়সসীমা ৩৪ এ উন্নীত করা।
৪। বেকার তৈরির কারখানা সকল ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে ইতোমধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফ গণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও, SACMO (উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট পদবির ব্যবহার চালু। উল্লেখ্য, এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।
৫। চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা বিধানে সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।