অনিয়ন্ত্রিত লেজার লাইট ব্যবহার কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজির হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে এই অনিয়ন্ত্রিত লেজার লাইট ব্যবহার তাৎক্ষণিকভাবে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজি ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অনিয়ন্ত্রিত লেজার লাইট ব্যবহার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী, ওবায়েদ আহমেদ রুমনসহ পাঁচজন।
আবেদনে বলা হয়, রাতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে লেজার লাইট ব্যবহার করছে ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়া সাধারণ জনগণ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা যথেচ্ছভাবে, বিশেষ করে বিমানবন্দর এলাকায় লেজার লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
লেজার লাইটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে অস্থায়ী অন্ধত্ব ও সড়ক দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছে। বিশেষ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশে বারবার লেজার লাইট হামলার ঘটনা বিমান নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন রিটকারীরা।
এতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরাপদ বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ ও কঠোর আইনি ব্যবস্থা, যেমন অপরাধ হিসেবে লেজার লাইট ব্যবহারের শাস্তি নিশ্চিত এবং জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী।