ধর্ষণ (প্রতীকী ছবি)
ধর্ষণ (প্রতীকী ছবি)

স্বামীর জামিনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে ডেকে এনে অন্তঃসত্ত্বাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

নরসিংদীতে স্বামীর জামিনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে গৃহবধূকে তিন দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল শনিবার (৮ মার্চ) ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে সদর উপজেলার মাধবদী থানায় মামলা করেছেন।

মামলায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে ওই গৃহবধূর অভিযোগ পেয়ে ইকবাল হোসেন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এজাহারভুক্ত দুই আসামি হলেন নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের জয়নাল আবেদীনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৪৩) ও আবদুল মোতালেবের ছেলে পাপ্পু মিয়া (২৯)।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১৫ ফেব্রুয়ারি মাধবদী থানা-পুলিশ তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে নরসিংদী কারাগারে পাঠানো হয়।

১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাতটায় গৃহবধূর মুঠোফোনে কল করেন ইকবাল হোসেন। ওই সময় তিনি বলেন, ‘পাপ্পু নামের এক উকিল আছে, তোর স্বামীর জামিন করিয়ে দিতে পারবে। পাঁচদোনা আয়, কথা বলব।’

তাঁর কথামতো সকাল আটটার দিকে পাঁচদোনা মোড়ে গেলে ইকবাল গৃহবধূকে একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে আরও চারজন ছিলেন। ইকবাল তাঁকে উকিল পাপ্পুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

পরে গৃহবধূর কাছ থেকে মুঠোফোনটি কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিন দিন আটকে রেখে ওই পাঁচজন একাধিকবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটার দিকে ইকবাল গৃহবধূকে বাড়ির সামনে রেখে আসেন।

ওই গৃহবধূর ভাষ্য, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন ইকবাল। ভয়-আতঙ্কে ঘটনা কাউকে জানাননি তিনি। তাঁর স্বামী জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরে তাঁর শরীর খারাপের কারণ জানতে চান। ৭ মার্চ ঘটনার বিস্তারিত স্বামীকে জানান তিনি। এরপরই স্বামী, স্বজনসহ গতকাল দুপুরে মাধবদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহবধূকে তিন দিন আটকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে একজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সূত্র: প্রথম আলো