ঢাকা ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য রঞ্জিতের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
রঞ্জিত কুমার তালুকদার

ঢাকা ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য রঞ্জিতের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

ঢাকা ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য রঞ্জিত কুমার তালুকদার ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন তাঁদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

এ ছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানসহ তিনজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সিদ্দিকুর গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ট্যাক্সেস অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য রঞ্জিত কুমার তালুকদারের তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর স্ত্রী ঝুমুর মজুমদারের ২৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

ঝুমুর মজুমদারের ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা টাকা পরিমাণ ১১ কোটি ৫০ লাখ ৩২ হাজার ৭৯ টাকা। আর রঞ্জিতের তিনটি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৬৪ হাজার ২০১ টাকা।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, রঞ্জিত কুমার তালুকদার ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তাঁরা তাঁদের সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।

এ ছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক অনিতা কর ও মাহফুজা রহমানের ২২টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সিদ্দিকুরের ১১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মাহফুজা রহমানের চারটি এবং অনিতা করের সাতটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর বাইরে জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া নেত্রকোনা মদন পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল হান্নান তালুকদার, তাঁর স্ত্রী খুশনো চৌধুরী, ছেলে মুজিবুল হাসান খালেদ, রেজয়ানুল হাসান ও আবরার হাসানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।