বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী তালিকাভুক্তি (এনরোলমেন্ট) পরীক্ষার ফি কমানোর দাবিতে বেশ কিছু ধরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। এসব কর্মসূচি গোচরীভূত হওয়ায় ফি পুনর্বিবেচনার বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী (এক্সিকিউটিভ) কমিটি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোঃ রুহুল কুদ্দুস (কাজল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) এক পোস্টে আইন শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি লিখেন, কর্মসূচি (বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষার অন্যায্য আবেদন ফি ৪০২০ টাকা থেকে কমিয়ে ফি ৩০০ টাকা করার দাবিতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ঘেরাও) আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস লিখেন, এ বিষয়ে আমাদের তরুণ বন্ধুদের জানাতে চাই যে, আগামী বুধবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ বার কাউন্সিলের পরবর্তী সভা রয়েছে। ফি পুনর্বিবেচনার বিষয়টি আমাদের আগে থেকেই এজেন্ডাভুক্ত। আপনাদের এ কর্মসূচি ঘোষণারও ১০ দিন আগে থেকে বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।
তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন, বার কাউন্সিলের বর্তমান কমিটি সবেমাত্র পুনর্গঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেন, ইতোমধ্যে হাইকোর্ট পারমিশন পরীক্ষার ভাইভা সম্পন্ন হয়েছে, ইনশাআল্লাহ ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছরের শেষার্ধে আরেকটি এমসিকিউ নেয়া হবে। নবীনদের জন্য প্রশিক্ষণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
নির্বাহী কমিটি চেয়ারম্যান লিখেন, বার কাউন্সিলের নানা অনিয়ম/ অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী/প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান আছে। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের বিষয়টিও যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করা হবে। আপনাদের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। আপনারাই আগামীতে এই মহান পেশায় আসবেন। আইনজীবীদের নেতৃত্ব দিবেন। আপাতত আমাদের প্রতি আস্থা রাখুন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষার অন্যায্য আবেদন ফি ৪০২০ টাকা থেকে কমিয়ে ফি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আজ রোববার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল আইন শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা।