জামালপুরে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন আট জন সাধারণ শিক্ষার্থী।
গত ১০ মার্চ একটি ধর্ষণ মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে জামালপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে চার আইনজীবীসহ মোট এগার জন আহত হন। ঘটনার পরের দিন পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করে আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা।
ওই ঘটনার সাথে জড়িত আট জন সাধারণ শিক্ষার্থী আদালত প্রাঙ্গণে হামলার বিষয়টিকে অনাকাঙ্খিত বলে ভুল স্বীকার করে এবং আইনজীবীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে আইনজীবীদের সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীরা করমর্দন করেন।
আজ রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আইনজীবী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জেলা আইনজীবী সমিতির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিশাদ রেজওয়ান বাবু, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নওয়াব আলী, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহবায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস, সদস্য সচিব আবিদ সৌরভ, শিক্ষার্থী ওয়াসিমুল সামী, ওয়াকিলসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহবায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন, হামলার ঘটনার সাথে কোন ভাবেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ জড়িত না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা একটি ধর্ষণ মামলার ন্যায় বিচারের স্বার্থে ওইদিন আদালতে এসেছিলো। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে আইনজীবীদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চেয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিশাদ রেজওয়ান বাবু বলেন, আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে মোট আট জন সাধারণ শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়েছে, আইনজীবীরা তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন।