মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে নিহত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) হত্যার বিচার শুরু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ এর আদালতে মামলার বাদী সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ আবদুল্লাহ আল হারুনর রশীদের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভা:) বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। রাষ্ট্র পক্ষে একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
এসময় ১৮ জন আসামীর মধ্যে ১২ জন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকী ৬ জন আসামী পলাতক রয়েছে।
আদালতে উপস্থিত আসামীরা হলেন- জালাল উদ্দিন প্রকাশ বাবুল, মোঃ হেলাল উদ্দিন, মোঃ আরিফ উল্লাহ, আনোয়ার হাকিম, মোঃ জিয়াবুল করিম, মোঃ ইসমাইল হোসেন প্রকাশ হোসেন, নুরুল আমিন প্রকাশ আমিন, মোঃ নাছির উদ্দিন, মোঃ ছাদেক, মোঃ এনাম, এনামুল হক এনাম প্রকাশ তোতা এনাম ও মোঃ কামাল প্রকাশ বিন্ডি কামাল।
আরও পড়ুন : শিশু অপহরণের মামলার আসামিকে দুবার যাবজ্জীবন দিলেন আদালত
পলাতক আসামীরা হলেন- আবদুল করিম প্রকাশ মোঃ করিম, আনোয়ারুল ইসলাম প্রকাশ আনোয়ার, মোর্শেদ আলম, শাহ আলম, আবু হানিফ ও মিনহাজ উদ্দিন। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন জানান, মামলাটি চার্জ গঠনের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
মামলাটির বিচারের জন্য গত ১১ মার্চ একই আদালতে চার্জশীটভুক্ত ১৮ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। এর আগে গত ১৯ জানুয়ারী আদালতে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কক্সবাজারের চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব মাইজপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের বসতবাড়িতে সশস্ত্র ডাকাত প্রতিরোধ অভিযানে গিয়ে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সারোয়ার নির্জন নিহত হন।
এ সময় যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে তিন ডাকাতকে আটক এবং তাদের ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় বন্দুক, ছয়টি গুলি উদ্ধার করে সেনাবাহিনী।
সেনা কর্মকর্তা তানজিম ছারোয়ার নির্জন হত্যাকান্ড ও ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতিসহ হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক ২ টি মামলা দায়ের করা হয়।