কক্সবাজারে কেন্দ্রীয় আ'লীগ নেতা, সাবেক ৬ এমপি সহ ৫২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ছবি : কক্সবাজার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আসামীরা

কক্সবাজারে কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা, সাবেক ৬ এমপি সহ ৫২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : বিগত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন করে ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অংগ সংগঠন সমূহের ৫২০ জন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলাটির বাদী হয়েছেন বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের ছাদেক ফকির পাড়ার নবী হোছাইন ও নুরজাহানের পুত্র এনামুল হক।

বাদী বর্তমানে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিংলজা ইউনিয়নের লিংকরোডস্থ দক্ষিণ মুহুরীপাড়ায় বসবাস করেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি।

মামলার নম্বর : ৪৯, তারিখ : ২১/০৩/২০২৫ ইংরেজি, যার জিআর মামলা নম্বর : ১৫৪/২০২৫ ইংরেজি (সদর থানা)। ধারা : দ্রুত বিচার আইনের ৪/৫ ধারা, ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১০৯/১১৪।

মামলায় বিগত বছরের ৪ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা রাত ৮টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের লালদীঘির পাড় হতে শহীদ মিনার, গুমগাছ তলা, বিমানবন্দর সড়কের হকশন ভবনসহ পাশের উপসড়কগুলোতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা, আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন করা, ত্রাস সৃষ্টি, মারধর করা, প্রাণনাশের হুমকি, বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে বিস্ফোরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুনচিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল শুনবেন হাইকোর্ট

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ৬ এমপি যথাক্রমে সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম প্রকাশ বাইট্টা জাফর, আবদুর রহমান বদি, মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, এথিন রাখাইনকে মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে।

এছাড়াও জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, মাসেদুল হক রাশেদ, কায়সারুল হক জুয়েল, শহীদুল হক সোহেল, সাবেক মেয়র মাহবুবুর রহমান, মোনাফ সিকদার প্রকাশ গুজা মেনাফ, ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম সাদ্দাম হোসেন, কায়সারুল হক মুন্না, হাসান তারেক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসতিয়াক আহমদ জয়, ইমরুল কায়েস চৌধুরী, কৃষক লীগের সভাপতি আতিক উদ্দিন চৌধুরী, রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক, ফয়সাল আবদুল্লাহ, মাহমুদুল করিম মাদু, অ্যাডভোকেট রেজাউর রহমান রেজা, মারফ আদনান, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, রিপন আরফাত, দিদারুল ইসলাম রুবেল, আরিফুল মওলা, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, কাজী রাসেল, উজ্জল কর, ডালিম বড়ুয়া, কুদরত উল্লাহ সিকদার, শফি উল্লাহ আনসারী, জমির হোসেন জামি, নারিমা জাহান, মোঃ জাফর প্রকাশ বালতি জাফর, আবদুল খালেক চেয়ারম্যান, সালাহউদ্দিন সেতু, সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সহ ৫২০ জনকে মামলায় এজাহারভুক্ত আসামী করা হয়েছে।

মামলায় আরো ২০০ জন থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর থানার এসআই চিন্ময় বড়ুয়াকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।