দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া নারী বিচারক বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। যদি কিন্তুর হিসেবে মিলে গেলে সুযোগ আছে দেশের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হওয়ারও!
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব চতুর্থ নারী বিচারপতি, যিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন। ১৯৬৬ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। হিসেব অনুযায়ী তিনি ২০৩৩ সালের ২৬শে মে অবসর গ্রহণ করবেন। এর আগে আপীল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া কোনো নারী বিচারপতি এতো সময় পাননি।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব সুস্থভাবে তাঁর বিচারিক জীবন অতিবাহিত করতে পারলে, জ্যেষ্ঠতার ক্রম উপেক্ষা করা না হলে, অনিবার্য বিশেষ কোন পরিস্থিতি তৈরি না হলে (২৪ গণঅভ্যুত্থানের পর যেমন সরাসরি হাইকোর্ট বিভাগ থেকে বর্তমান প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ করা হয়েছে) বর্তমানে আপীল বিভাগের সর্বকনিষ্ঠ এই বিচারপতি হতে পারেন দেশের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।
২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এক বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি।
আজিমপুর কবরস্থান রক্ষার রায়, ধর্ষণের শিকার নারীদের দ্রুত মামলা নেওয়ার বিষয়ে নীতিমালা করে রায়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রথাগত অধিকার রক্ষার রায়, অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনায় শিশু জিহাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের রায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেল শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের রায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামা বাধ্যতামূলকের রায়সহ অসংখ্য আলোচিত রায় দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।