ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন

আমি বৈষম্যের শিকার : ব্যারিস্টার সুমন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হবিগঞ্জ–৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুল ইসলাম জামিন শুনানি শেষে সোমবার (৭ এপ্রিল) এ আদেশ দেন।

হবিগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক শেখ নাজমুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ গোলচত্বরে গত বছরের ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়। পরে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর দায়ের করা এ মামলায় সায়েদুল হকসহ ৯৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি ২০০ জন। এ মামলা ছাড়া সায়েদুল হকের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে।

এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গত বছরের ২১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয় সায়েদুল হককে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। দুই দিন আগে তাঁকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে আনা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চুনারুঘাটে হামলার ঘটনায় করা মামলার শুনানি ছিল সোমবার। এদিন বেলা দুইটার দিকে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে সায়েদুল হককে আদালতে আনে পুলিশ। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমে যায়।

হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করার পর সায়েদুল হকের পক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হয়। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক মো. কামরুল ইসলাম। আসামিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি।

‘আমি বৈষম্যের শিকার’

আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে সায়েদুল হক বলেন, ‘আমি বৈষম্যের শিকার। ৩০২ ও ৩২৬ ধারাসহ বড় বড় ধারায় অভিযুক্তরা জামিন পান। সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো লোকজন জামিন পেয়েছেন। আমি জামিন পাই না। আজকে যে মামলায় আমাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে এ মামলায় আমার ওপর ৩২৩ ধারায় চার্জ আনা হয়েছে। এ ধরনের মামলা ও চার্জে আমি জামিন পাওয়ার অধিকার রাখি।’

সায়েদুল হক আরও বলেন, ‘আমাকে যদি জামিন নাই দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তী তারিখ যেন দেরিতে দেওয়া হয়। কারণ দেশের নানা স্থানে আমার ওপর মামলা থাকায় পুলিশকে ভোগান্তি পোহাতে হয়, আমার নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে। আদালত আমার নিরাপত্তার বিষয়টি যেন দেখেন।’

বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট ও লাইভ করে আলোচনায় আসা সায়েদুল হক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হবিগঞ্জ–৪ আসন থেকে নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারান তিনি।