‘সহকারী জজ’ ও ‘সিনিয়র সহকারী জজ’ পদবির নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব বিচারকদের

গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি বিচারকদের

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন

সংগঠনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম এবং মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে  সোমবার (৭ এপ্রিল) এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়,

ফিলিস্তিনের গাজা-রাফাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও সরকারের পরিচালিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, বোমাবর্ষণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর থেকে অব্যাহত চলমান এই সামরিক আগ্রাসনে প্রায় ৮০ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসহায় নাগরিক শহীদ হয়েছেন এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, যা মানবতার ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

আরও পড়ুনব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেপ্তার ৪৯

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,

আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও যুদ্ধবিধির সকল নীতিকে পদদলিত করে ইসরাইল ও তার মিত্ররা এই গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ বিশ্ব সম্প্রদায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

আরও পড়ুনখতিয়ান কি মালিকানাস্বত্ব সৃষ্টি করতে পারে?

বিচারিক আদালতের বিচারকদের সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন,

আমরা গভীর শোক ও ক্ষোভের সাথে ফিলিস্তিনের শহীদদের স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত বা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, তাদের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এই সংকটের অবসান ঘটাতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করছি। ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগসহ সকল মানবাধিকার সংগঠনের প্রতি জোরালো আবেদন জানাচ্ছি।

আরও পড়ুনপ্রসঙ্গ ভারতের ওয়াকফ আইন : ধর্মীয় অধিকার বনাম রাষ্ট্রশক্তি

এতে আরও বলা হয়,

ফিলিস্তিনের গাজা ও অন্যান্য অঞ্চলে ইসরাইল কর্তৃক চালানো অব্যাহত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সংগ্রামের সাথে অ্যাসোসিয়েশন একাত্মতা প্রকাশ করছে। সেই সাথে অবিলম্বে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে নৃশংসতার জন্য দায়ী যুদ্ধাপরাধীদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সকল বিশ্ব নেতৃত্বকে আহ্বান জানাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরাইল। তারপর প্রায় দুই মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল।

তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরাইলি বিমান হামলায় ১ হাজার ৩৯১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৪৩৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।