ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের অধীনে বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিতকরণের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে ফ্যাসিস্ট বিরোধী আইনজীবী সমাজ।
জেলা আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) এ বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বরগুনার আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ তালুকদার, অ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন, অ্যাডভোকেট মোঃ রেজবুল কবির প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত ৫ই আগস্ট খুনী ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে গণআন্দোলনের মাধ্যমে। দেশের সকল জনগণ এই আন্দোলনের অংশীদার। সকল পর্যায়ের ছাত্র জনতা, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, আইনজীবী এই আন্দোলনে বুকের রক্ত দিয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার উৎখাতে যে যার অবস্থান থেকে। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আজ আমরা ফ্যাসিস্ট মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আইনজীবী নেতৃবৃন্দ বলেন, এই অগ্রযাত্রায় আমরা বরগুনা জেলার সকল আইনজীবী আজ ঐক্যবদ্ধ। আগামি ১১ই এপ্রিল বরগুনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচন একটি প্রহসনের নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসর আসলাম এবং বাহাদুর গং নতুন ষড়যন্ত্রের পায়তারা করছে।
আরও পড়ুন : মৌলভীবাজারে আইনজীবী খুন: আদালত বর্জন, মানববন্ধন-মিছিল সহকর্মীদের
তারা বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ৫ জন সদস্যের মধ্যে ৪ জন সদস্য ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। এই আসলাম এবং বাহাদুর গং দীর্ঘকাল ধরে এই জেলার আইন পেশা ও আইনাঙ্গনকে কলুষিত করে রেখেছে স্বৈরাচারী প্রবৃত্তি নিয়ে। আমরা সাধারণ আইনজীবীরা আজ এই ফ্যাসিস্টদের অত্যাচার থেকে আমাদের পবিত্র আইনপেশকে মুক্ত করার জন্য দৃঢ় শপথ নিচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যেখানে খুনি হাসিনা আজ পলাতক, কিন্তু তার দোসর এই নির্বাচন কমিশন আগের ন্যায় ফ্যাসিস্ট কায়দায় একটি প্রহসনের নির্বাচনের পায়তারা করছে। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আসলাম এবং বাহাদুর গং বিভিন্নভাবে নিবার্চনের নিয়ম এবং আইন লংঘন করে যাচ্ছে তফসিল ঘোষণার পর থেকে।
কিন্তু এই ফ্যাসিস্ট নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করার জন্য বারবার অবহিত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আজ আমরা ফ্যাসিস্ট কমিশনের অধিনে এই প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর। নেতৃবৃন্দ এই ফ্যাসিস্ট নির্বাচন কমিশন বাতিল করে আগামী ১১ই এপ্রিলের নির্বাচন স্থগিত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
আইনজীবী নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশশেষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক বরাবরে নির্বাচন বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।