‘মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯’ এর সংশোধন করেছে সরকার। এর মাধ্যমে বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালির পাশাপাশি অনলাইন পদ্ধতিতেও সম্পাদন করা যাবে।
এই সংশোধনী এনে সম্প্রতি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত সোমবার (৭ এপ্রিল) জারীকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সরকার মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ এর অধিকতর সংশোধন করল। অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যমে বা সরকার থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফি পরিশোধ করা যাবে।
নিকাহ্ ও তালাক নিবন্ধন পদ্ধতি প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নিকাহ্ ও তালাক নিবন্ধন ম্যানুয়ালি বা অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পাদন করা যাবে।
এতে আরও জানানো হয়, অনলাইন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ফরম ‘ঘ’ তে যেসব ব্যক্তির স্বাক্ষর প্রয়োজন তারা সরকার থেকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ডিজিটাল মাধ্যমে বা সরাসরি স্বাক্ষর এবং নিরক্ষর ব্যক্তির ক্ষেত্রে টিপসই দেবেন।
প্রসঙ্গত, মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ এর অধীন মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ তৈরী করা হয়েছিল। এতদিন শুধুমাত্র ম্যানুয়ালি বিবাহ এবং তালাক নিবন্ধন এর সুযোগ থাকার ফলে পরিচয় বা আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে বিয়ের ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। বাল্যবিয়েও এখনও রোধ করা যায়নি। আইনবহির্ভুত একাধিক বিয়ে ও বাল্যবিয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে নাগরিকদের বিবাহ ও তালাকের সঠিক তথ্য-উপাত্ত না থাকায় অনেকক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরিতেও সমস্যা হতো।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার লক্ষ্যে এবং একই সাথে দুর্নীতি এবং পাবলিক হ্যারাসমেন্ট কমানোর লক্ষ্যে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ সংশোধন করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে অনলাইনেও বিবাহ এবং তালাক নিবন্ধন করা যাবে, সাথে ম্যানুয়ালি বিবাহ এবং তালাক নিবন্ধন করা তো যাবেই। অর্থাৎ নাগরিক তাঁর সুবিধা মতো যেভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে চান সেভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন।