বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী আন্তর্জাতিক সংস্থা পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশনের (পিসিএ) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
গত ২৩ এপ্রিল পিসিএর সেক্রেটারি জেনারেল মার্সিন চেপেলাক একটি অভিনন্দন বার্তার মাধ্যমে তাঁর নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন : সংবিধান অর্থবহ করতে বিচার আরও স্বচ্ছ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা কে এম খালিদ বিন জামান গতকাল শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে সম্প্রতি পিসিএর সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
বর্তমানে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতির পদমর্যাদায় গঠিত গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সভাপতি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের চুক্তি পর্যালোচনায় গঠিত জাতীয় রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের শুভেচ্ছা
এদিকে বিচারপতি (অবঃ) মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন (পিসিএ)-এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অত্যন্ত গর্বের সাথে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মোঃ আমিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছা স্মারকে বলা হয়, এই অসাধারণ অর্জন তাঁর অসাধারণ আইনগত প্রজ্ঞা, অটুট সততা এবং আজীবন ন্যায়বিচারের প্রতি নিষ্ঠার উজ্জ্বল প্রমাণ — যা আমাদের বিচার বিভাগ ও জাতির জন্য গৌরব বয়ে এনেছে।
স্মারকে বলা হয়, তাঁর গৌরবময় ক্যারিয়ার, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, বিশিষ্ট সালিশি এবং আইনবিদ হিসেবে দীর্ঘকালীন সেবাকে অন্তর্ভুক্ত করে, এক অনন্য মানদণ্ড স্থাপন করেছে। সালিশি প্রক্রিয়া, আইন সংস্কার এবং বিচারিক প্রশাসনে তাঁর অবদান শুধু বাংলাদেশের আইনগত কাঠামোকে শক্তিশালী করেনি, বরং তাঁকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও এনে দিয়েছে।
পিসিএ-তে তাঁর নিয়োগ বাংলাদেশের জুডিশিয়াল সার্ভিসের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উল্লেখ করে স্মারকে বলা হয়, এটি ন্যায়বিচার ও পেশাদারিতার পথে অগ্রসর সকলের জন্য প্রেরণার উৎস। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তাঁর প্রজ্ঞা ও ন্যায়পরায়ণতা আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে সমৃদ্ধ করবে।
অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্বে সাফল্য কামনা করে এবং আশা করে, তাঁর এই যাত্রা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আইন পেশাজীবীদের অনুপ্রাণিত করবে। তিনি যেন ন্যায়বিচারের সেবায় আরও উচ্চতর সাফল্যের শিখরে পৌঁছান — এই শুভকামনা।