ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিটের নেতৃবৃন্দ চিঠি দিয়েছেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের বরাবর সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ চিঠি দেওয়া হয়।
এসময় ঢাকার বার ইউনিটের আহবায়ক আইনজীবী মো. মমিনুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
চিঠির বিষয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদ বলছে, গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর তাদের সমর্থিত আইনজীবীরা পালিয়ে যাওয়ায় এক ক্রান্তিলগ্নে এডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে।
যদিও ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে এ ধরনের এডহক কমিটির বিধান না থাকলেও আমরা ঢাকা বারের আইনজীবীরা বৃহত্তর স্বার্থে এ এডহক কমিটির কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করি।
কমিটির দায়িত্ব ছিলো গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পরবর্তীতে এক সাধারণ সভায় এ এডহক কমিটির মেয়াদ গত ২৬ জানুয়ারি তিন মাস বাড়ানো হয়।
নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল গঠন করার কথা। তবে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার শেষ দিন থাকলেও এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ৩২ হাজারের অধিক আইনজীবীর ভোটাধিকার প্রশ্নে কোন ধরনের অগঠনতান্ত্রিক পদক্ষেপ বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ সমর্থন করবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন হিসেবে আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রশ্নে আমরা আপোষহীন থাকবো।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠনে এডহক কমিটিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান সংগঠনটি।
এ বিষয়ে ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা এখন চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে ইতিবাচক কোন সাড়া না পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা আইনজীবী অধিকার পরিষদ কঠোর আন্দোলন করব।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, আমার বরাবর একটা চিঠি এসেছে। তবে এখনো চিঠি পড়া হয়নি।
সাধারণ আইনজীবীরা সকলে সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সময় শেষ হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা হলে সিদ্ধান্ত নেবে।