রমজানে অধস্তন আদালতের সময়সূচি নির্ধারণ
আদালত (প্রতীকী ছবি)

ভুয়া বাদী সেজে জামিন নিতে গিয়ে ধরা: আইনজীবীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লার আদালতে ভুয়া অভিযোগকারী সেজে আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন সালমা নামের ভুয়া অভিযোগকারী। গত ২৪ এপ্রিল কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে এই ঘটনা ঘটে।

আদলত সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আাদালতে ভুয়া অভিযোগকারী সালমা নামে এক মহিলা মামলার বাদী সেলিনা আক্তার রাত্রি সেজে আদালতে আসেন।

অ্যাডভোকেট গাজী মো: আবদুল আলীম এবং আসামিদের যোগসাজসে অভিযোগকারী সালমা অত্র আদালতে দায়ের করা লক্ষ্মীপুর জেলার সি.আর. ১৪৬৭/২০২৪ নং মামলার অভিযোগকারীনী না হয়েও মামলায় ভুয়া অভিযোগকারী মর্মে পরিচয় প্রদান করে।

মামলার আসামী মোঃ সুমনের জামিন আবেদন শুনানীকালে উপস্থিত হয়ে আসামি জামিনে মুক্তি পেতে আপত্তি নেই মর্মে মৌখিকভাবে জানান।

শুনানীর সময় বাদীর নাম ঠিকানা যাচাই করলে আদালতের নিকট সন্দেহ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে আসামির গ্রেফতারি পরোয়ানায় উল্লেখিত বেঞ্চ সহকারী, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, লক্ষ্মীপুর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করে মামলার আবেদনের অনুলিপি সংগ্রহ করে দেখতে পান উক্ত মামলার আসল অভিযোগকারী সেলিনা আক্তার রাত্রী।

তিনি লক্ষীপুর জেলার সদর থানার সমসেরাবাদ গ্রামের আব্দুর রশিদ বেপারী বাড়ির মৃত মো: সেলিম মিয়ার কন্যা।

আদালত জারীকারক আশিকুর রহমানের মোবাইল নাম্বার থেকে প্রকৃত অভিযোগকারীর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, আদালতে উপস্থিত সালমা উক্ত মামলার প্রকৃত অভিযোগকারী নন।

পরবর্তীতে আদালতের জিজ্ঞাসাকালে সালমা স্বীকার করেন তিনি সি.আর. ১৪৬৭/২০২৪ (লক্ষ্মীপুর) মামলার অভিযোগকারী নন। তার স্বামী উক্ত মামলার আসামী মোঃ সুমন, শ্বাশুড়ী মফিয়ার সাথে পরস্পর যোগসাজসে অ্যাডভোকেট গাজী মোঃ আবদুল আলীম এর পরামর্শে নিজেকে সেলিনা আক্তার বাদী মর্মে পরিচয় দিয়েছেন।

আদালত সালমা, তার স্বামী মো: সুমন, শাশুড়ী মফিয়া এবং অ্যাডভোকেট গাজী আবদুল আলীমসহ অজ্ঞাত নামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: জিয়াউল হাসান একটি মামলা দায়ের করেন।