সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ জারির পর সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী এস এম আরিফ মন্ডল একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেছেন। নোটিশে তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি কর্মচারীদের এই ধরনের সংগঠন ও আন্দোলন সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৩৮ এর পরিপন্থী।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২৫ মে ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর ২৬ এর মাধ্যমে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ তে ৩৭ক ধারা সংযোজন করা হয়। এই সংশোধনের পর সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করে বিক্ষোভ শুরু করেন। দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সচিবালয়ে বিক্ষোভের কারণে এনবিআরসহ বিভিন্ন দপ্তরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।
আইনজীবী এস এম আরিফ মন্ডল তার নোটিশে আরও উল্লেখ করেন, সরকারি কর্মচারীরা বিভিন্ন নামে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত সংগঠন গঠন করে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা-১৯৭৯ এর বিধি ২৯, ৩০ ও ৩০এ লঙ্ঘন করছে। এই বিধিমালায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না এবং সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে আপত্তি উত্থাপন করতে পারবেন না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ও সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি কর্মচারীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯-এর যেকোনো বিধান লঙ্ঘন সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইনজীবী এস এম আরিফ মন্ডল তার নোটিশে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত সংগঠনগুলোর কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা এবং নিবন্ধিত সংগঠনগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হবেন।