বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)-এর পরিচালক হিসেবে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (২ জুন) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
তবে আবেদনকারী চাইলে অন্য কোনো বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করতে পারবেন, বলে আদালত মত দেন।
এর আগে গতকাল রোববার (১ জুন) বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ এই রিটটি করেন, যা আজ কার্যতালিকায় ২৮ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বিসিবি পরিচালকের পদ থেকে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে। পরদিন ৩০ মে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বিসিবির নতুন পরিচালক হিসেবে মনোনীত করে এনএসসি। এনএসসির ওই দুটি সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফারুক হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস, আইনজীবী কায়সার কামাল ও এ কে এম আজাদ হোসেন। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, এনএসসির পক্ষে এবং বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহিন এম রহমান।
রিটের বিষয়ে আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন বলেন,
শুনানির পর আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। রিটটি অন্য বেঞ্চে উপস্থাপন করার স্বাধীনতা থাকবে বলা হয়েছে। আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান জানান,
শুনানি নিয়ে আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। রিটটি অন্য বেঞ্চে উপস্থাপন করার স্বাধীনতা থাকবে বলা হয়েছে কি না, তা জেনে জানাতে পারবেন তিনি।
রিটের প্রার্থনায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ ও ৩০ মে-র এনএসসির সিদ্ধান্তগুলো কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—সে মর্মে রুল চাওয়া হয়। একইসঙ্গে, রুল জারি হলে বিচারাধীন অবস্থায় ওই সিদ্ধান্তগুলোর কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
রিটে যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদসহ মোট পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিসিবির দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও সাজ্জাদুল আলম নান্নুর স্থলে ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনকে মনোনীত করে এনএসসি। পরবর্তীতে পরিচালকদের ভোটে ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হন।