বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে ফারুক আহমেদকে অপসারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের প্রেক্ষিতে, কেন তার অপসারণ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রুলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে চার সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিসিবির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান এবং ব্যারিস্টার সালেহ আকরাম সম্রাট। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
আদালতের আদেশের পর বিসিবির পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম ও ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান জানান, রুল জারির পাশাপাশি আদালত বিসিবিতে বর্তমানে দায়িত্ব পালনরত পরিচালনা পর্ষদের ওপর ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবেন।
এর আগে, গত ১ জুন সদ্য সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এতে গত ২৯ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক তার মনোনয়ন বাতিল এবং ৩০ মে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিটে যুব ও ক্রীড়া সচিবসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবির পরিচালক পদে পরিবর্তন আনে। তখন জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের পরিবর্তে ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে বোর্ড পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয়। পরবর্তীতে পরিচালনা পর্ষদের ভোটে ফারুক আহমেদ বিসিবির সভাপতি নির্বাচিত হন।