বাংলাকে জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা অন্তর্ভুক্তি চেয়ে আইনি নোটিশ

ইসলামী শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ চালুর দাবিতে আইনি নোটিশ

বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ চালুর দাবিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো এই আইনি নোটিশটি প্রেরণ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোঃ মাহমুদুল হাসান।

আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে দেশে দুটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে— একটি সুদভিত্তিক কনভেনশনাল ব্যাংকিং, অপরটি শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং।

তবে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলেও মাইক্রোক্রেডিট খাতে এখনো কোনো শরিয়াভিত্তিক ঋণ কার্যক্রম চালু হয়নি। এতে করে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী— যারা প্রধানত মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল— বাধ্য হচ্ছেন সুদভিত্তিক ঋণ নিতে, যা ইসলামী শরিয়ার পরিপন্থী।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে নাগরিকদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় শরিয়াভিত্তিক ঋণের ব্যবস্থা না থাকা সংবিধানের লঙ্ঘন এবং মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার হরণের শামিল।

নোটিশে দাবি করা হয়েছে, দেশের গ্রামীণ জনগণের জন্য শরিয়াভিত্তিক মাইক্রোক্রেডিট ঋণ ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অনুকরণে মুদারাবা, মুশারাকা, মুরাবাহা, কারজে হাসানা ইত্যাদি শরিয়াভিত্তিক অর্থনৈতিক মডেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, উক্ত নোটিশ পাওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে বলে আইনি নোটিশে সতর্ক করা হয়েছে।