মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান গৃহযুদ্ধ ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা পাঠানোর দাবি জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ মাহমুদুল হাসান এই নোটিশটি রেজিস্ট্রি ডাক ও ইমেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করেন।
আইনি নোটিশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে অসংখ্য নারী, শিশু ও সাধারণ জনগণ চরম দুর্দশায় পড়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসাসেবা ও ওষুধের অভাবে তারা দুর্ভিক্ষ ও রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে পড়ছে।
বিশ্ব গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে, রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে খাবারের জন্য হাহাকার চলছে, এবং মুসলিম জনগোষ্ঠী ও আদিবাসী সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি এবং সামাজিক কাঠামোর ওপর অতিরিক্ত চাপ বহন করছে।
রাখাইনে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে নতুন করে শরণার্থীদের ঢল নামতে পারে, যা বর্তমান সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে।
নোটিশে বাংলাদেশ সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মানবতা ও মানবাধিকারের প্রতি দায়বদ্ধতার আলোকে সরকারকে রাখাইন রাজ্যে জরুরি সহায়তা পাঠানোর সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে জাতিসংঘ, রেড ক্রস ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থার সহযোগিতায় রাখাইন রাজ্যে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা পাঠানো প্রয়োজন।
নোটিশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে, জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।