তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। একইসঙ্গে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা।
আজ রোববার (২২ জুন) নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনা ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
‘বেআইনি ও সহিংস হামলা’
ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (NPT) লঙ্ঘন।
“এই সহিংস ও বেআইনি হামলার পেছনে রয়েছে ইরানের শত্রুরা। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব।” —বিবৃতিতে জানায় সংস্থাটি।
আরও পড়ুন : ‘বিচারিক স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ নিয়ে জাতীয় সেমিনার আজ, দ্বৈতশাসনের অবসান হবে কি?
কেন্দ্রগুলো ছিল ‘খালি’
হামলার পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে ইরানের উপ-রাজনৈতিক পরিচালক হাসান আবেদিনি বলেন,
আমরা আগেই সতর্ক ছিলাম। তাই হামলার আগেই ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো থেকে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি।
ট্রাম্পের দাবি: ‘সফল অভিযান’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে বলেন,
আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফলভাবে হামলা চালিয়েছি। সব বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে ফিরে এসেছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও পরিণতি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং পরমাণু অস্ত্রবিস্তার বিরোধী আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি অবমাননার নজির তৈরি করল। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে ইরান যদি মামলা করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর কূটনৈতিক ও আইনি চাপ বাড়বে।