নোভারটিস বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার রেডিয়েন্ট ফার্মার কাছে হস্তান্তর এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে বিচারাধীন একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ শীর্ষ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার (২২ জুন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইকতান্দার হোসেন হাওলাদারের পক্ষে অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড মো. শহীদুল ইসলাম এই নোটিশ পাঠান।
অভিযোগের বিবরণ
আইনি নোটিশে অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে:
-
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
-
বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ বিভাগের (FEID) ডেপুটি গভর্নর ও প্রধান কর্মকর্তা
-
বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU)-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত
-
এফইআইডির পরিচালক
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন সিভিল মিসেলেনিয়াস পিটিশন নং ৪৭৭/২০২৫ থাকা সত্ত্বেও তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শেয়ার হস্তান্তরের বিষয়ে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এর আগে, রিট পিটিশন নং ৬০০২/২০২৫ খারিজ হওয়ার পর আবেদনকারী আপিল বিভাগে সি.এম.পি. দায়ের করেন, যার মাধ্যমে পুরো বিষয়টি বিচারাধীন হয়ে পড়ে।
আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা
নোটিশে বলা হয়েছে, বিষয়টি বিচারাধীন—এ তথ্য হার্ড কপি এবং ই-মেইলের মাধ্যমে একাধিকবার বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল।
এরপরও ১৯ জুন ২০২৫ এফইআইডি শেয়ার হস্তান্তরের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে, যা আদালতের প্রতি “ইচ্ছাকৃত অবজ্ঞা” এবং বিচারাধীন প্রক্রিয়াকে ব্যর্থ করার চেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আইনি সতর্কতা
নোটিশে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এটি বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদ এবং আদালত অবমাননা আইন, ২০১৩ অনুযায়ী গুরুতর এবং সুস্পষ্ট আদালত অবমাননা। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত ও যৌথভাবে দায়ী থাকবেন।
নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে—
-
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৯ জুনের অনুমোদন প্রত্যাহার ও বাতিল করতে হবে
-
মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে হবে