কক্সবাজারে ৩১ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
এজলাস, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার : ৫ রোহিঙ্গাসহ ৭ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা সহ ৭ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২২ জুন) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দন্ডিত আসামীদের পরিচয়

দন্ডিত আসামীরা হলেন- আবদুল হামিদ (৪২), পিতা-মৃত কালা মিয়া, মোঃ হোসেন জোহার (১৯), পিতা-আবদুস সালাম, মোঃ জোবায়ের (২২), পিতা-লোকমান হাকিম, লাল মোহাম্মদ (২৫), পিতা-জকরিয়া, মোঃ ইয়াসিন, পিতা-আবদুর রহমান। এরা সকলেই রোহিঙ্গা এবং টেকনাফের মোছনী ক্যাম্পের শরনার্থী। দন্ডিত অন্য ২ জন হলেন- টেকনাফের মোঃ বশির আহমদ, পিতা- লাল মিয়া ও একই উপজেলার মোঃ আলম, পিতা-আবদুর রশিদ।

মামলার পটভূমি

২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কোস্ট গার্ডের একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের পূর্ব পাশে বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে দ্রুত বেগে চলতে থাকা একটি ট্রলার আটক করে। কোস্ট গার্ড সদস্যরা এই ট্রলারটি তল্লাশি করে ২টি ওয়ান শুটারগান এবং ১ লক্ষ ২ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে। এঘটনায় আবদুল হামিদ, মোঃ হোসেন জোহার, মোঃ জোবায়ের, লাল মোহাম্মদ, মোঃ ইয়াসিন, মোঃ বশির আহমদ ও মোঃ আলম কে আসামী করে কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম. ইলিয়াস মন্ডল বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক ২ টি মামলা দায়ের করেন। অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত মামলাটি হচ্ছে- এসপিটি : ২৯১/২০২২ ইংরেজি।

বিচার প্রক্রিয়া

অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ একই আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামীদের পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রোববার দিন ধার্য্য করা হয়।
রায় ঘোষণার দিনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নিশাত সুলতানা ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় মামলার আসামী আবদুল হামিদ, মোঃ হোসেন জোহার, মোঃ জোবায়ের, লাল মোহাম্মদ, মোঃ ইয়াসিন, মোঃ বশির আহমদ ও মোঃ আলমকে দোষী সাব্যস্থ করে প্রত্যককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।