পিরোজপুর সদর সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক ও আইনবহির্ভূত আচরণের অভিযোগে আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আইনজীবীরা।
জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিচারক আশিকুর রহমানকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তার আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আইনজীবীরা। রোববার (২২ জুন) এ সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে জানানো হয়।
অভিযোগের বিবরণ
জেলা আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, বিচারক আশিকুর রহমান দেওয়ানি মামলার কোর্ট ফি নির্ধারণে আইন লঙ্ঘন করে সম্পত্তির মোট মূল্যের উপর মূল্যমান নির্ধারণ করতেন। এছাড়া, স্ট্যাম্প আইন ও মুলতবি খরচ নিজের ইচ্ছামতো চাপিয়ে দিতেন, যা বিচারপ্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা তৈরি করত।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও অন্যান্য সদস্যরা বিষয়টি তুলে ধরে বৈধ পদ্ধতিতে বিচারকাজ পরিচালনার আহ্বান জানালে, বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং উল্টো অসৌজন্যমূলক ভাষা ব্যবহার ও আচরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পূর্ব ইতিহাস ও পদক্ষেপ
আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বিচারক আশিকুর রহমান পূর্বে মঠবাড়িয়া সহকারী জজ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ও একই ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। তখনও তিনি আইন মানেননি।
সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরদার ফারুক আহম্মেদ বলেন, “তিনি (বিচারক) নিয়ম না মেনে বিচার কার্যক্রম চালাতেন এবং আইনজীবীরা বিষয়টি তুলে ধরলে তাদের সাথে অসদাচরণ করতেন। ফলে সমিতি তাঁর আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এই সিদ্ধান্তের লিখিত অনুলিপি ইতিমধ্যে প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।