ঢাকা মহানগরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পানি দূষণ রোধে এখন পর্যন্ত কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ওয়াসার তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এই রুলসহ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন : ঢাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ হাইকোর্টের
রুলের বিষয়বস্তু
রুলে আদালত জানতে চেয়েছেন—
-
জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কৃমিযুক্ত ও পোকামাকড়যুক্ত পানি সরবরাহে ওয়াসার নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না?
-
দূষণের তাৎক্ষণিক সমাধান করে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না?
রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে:
-
স্থানীয় সরকার সচিব
-
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক
-
উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ)
-
ওয়াসার সচিব
-
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
রিটের প্রেক্ষাপট
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালেকুজ্জামান সাগর জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন। রিটে ঢাকা ওয়াসার পানির দূষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
শুনানিতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম ও মাহফুজ বিন ইউসুফ।
মো. সালেকুজ্জামান সাগর বলেন, “ওয়াসার সরবরাহ করা পানি সরাসরি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। এতে সাধারণ মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”