চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির নিয়োগ ও জিটুজি ভিত্তিক প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা রিটের শুনানির জন্য আগামী ২৯ জুন, দুপুর ২টা সময় নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গতকাল সোমবার (২৩ জুন) এই দিন ধার্য করেন। আদালতের কার্যতালিকায় রিটটি এদিন ৬২৬ নম্বর ক্রমিকে ছিল।
বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন এই রিটটি দায়ের করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেশীয় অপারেটরদের অগ্রাহ্য করে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দিতে চায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, যা পিপিপি আইন ও নীতিমালার পরিপন্থী।
আবেদনে বলা হয়, প্রকল্পটি জিটুজি ভিত্তিতে পরিচালিত হলে ন্যূনতম ২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন। অথচ পিপিপি কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকল্পের অনুমিত বিনিয়োগ মাত্র ২০০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
রিটে হাইকোর্টের কাছে দুটি প্রধান বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে:
- বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়াটি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না।
- ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান ছাড়া এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব কেন দেওয়া যাবে না।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে:
-
নৌপরিবহন সচিব
-
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান
-
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
এই ইস্যুতে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোতে ‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, প্রয়োজনীয় সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এনসিটিকে বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যা বন্দরের স্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় সক্ষমতার জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রতিবেদনটিও রিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
এ নিয়ে বন্দর শ্রমিক-কর্মচারীরা একাধিকবার আন্দোলন-বিক্ষোভ করেছেন, তবুও প্রক্রিয়াটি এগিয়ে চলছে।