কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীর নিরাপত্তা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই নারীর নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিডিওটি অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ জুন) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মীর এ কে এম নুরুন্নবী।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন মীর এ কে এম নুরুন্নবী, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
মামলার অগ্রগতি প্রতিবেদন ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে।
ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় ৫ জন গ্রেপ্তার
ঘটনার পর মুরাদনগর থানায় ভুক্তভোগী নারী মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ৪ জনকে। তারা হলেন:
-
মো. সুমন
-
রমজান আলী
-
মো. আরিফ
-
মো. অনিক
সবার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলায়।
কী ঘটেছিল সেই রাতে?
এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারী প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পূজা চলাকালে তিনি বাড়িতে একা ছিলেন।
ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি দরজা খুলতে বলেন। দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানালে জোর করে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তিনি ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
পাশের বাড়ির বাসিন্দারা শব্দ শুনে ছুটে এসে দরজা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান এবং তাকে উদ্ধার করেন। ঘটনার পর একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে, যা তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।