বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ২০২৪ সালের তালিকাভুক্ত চট্টগ্রামের নবীন আইনজীবীরা হাইকোর্ট পারমিশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতে ফরম পূরণের সময়সীমা এক মাস বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে আইনজীবীরা বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বরাবর আবেদনপত্র দাখিল করেন।
আবেদনকারীরা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের মার্চে বার কাউন্সিল কর্তৃক তালিকাভুক্তির পর, অনেক নবীন আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ আগস্ট মাসে লাভ করেন।
ফলে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অনুযায়ী Pupilage Contract ও Intimation ফর্ম দাখিল বিলম্বে সম্পন্ন হয়।
এ বিলম্ব তাদের ব্যক্তিগত গাফিলতি নয় বরং একটি প্রাতিষ্ঠানিক জটিলতার ফল, যা এখন ২০২৫ সালের হাইকোর্ট পারমিশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, দেশের অন্যান্য জেলার নবীন আইনজীবীরা সদস্যপদ আগে ভাগে পেয়ে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই আবেদন করতে পেরেছেন।
ফলে, শুধুমাত্র প্রশাসনিক দেরির কারণে চট্টগ্রামের নবীন আইনজীবীদের একটি ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তাঁরা বলেন, “এই বিষয়টি শুধু আমাদের পেশাগত ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং এটি ন্যায্যতা, মানবিকতা এবং সমতার নীতির প্রশ্ন।”
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে আবেদন করা আইনজীবীরা বার কাউন্সিলের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বার কাউন্সিল নবীন আইনজীবীদের পেশাগত বিকাশ ও সমান সুযোগ নিশ্চিতে এই অনুরোধ মানবিক বিবেচনায় গ্রহণ করবেন।”
গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, হাসনাইন মাহমুদ, এবং আহসান হাবিব মুন্না সহ আরও অনেকে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেন।