ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় পরিত্যক্ত সরকারি জমিতে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে প্রভাব খাটিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছেন কয়েকজন সাবেক বিচারক।
পরবর্তীতে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সেই বরাদ্দ বাতিল করেছে। ধানমন্ডিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি সরকারি প্রকল্পে নীতিমালা লঙ্ঘন করে বরাদ্দ নেওয়া ফ্ল্যাট বাতিল করা হয়েছে সাবেক তিন বিচারকের।
তারা হলেন— অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. জহুরুল হক, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং সাবেক রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সিনিয়র জেলা জজ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, এই তিন সাবেক বিচারক প্রভাব খাটিয়ে ধানমন্ডির অভিজাত এলাকায় সরকারের জন্য নির্ধারিত ফ্ল্যাট নিজেদের নামে বরাদ্দ নেন।
মো. জহুরুল হক ৪,১০৫ বর্গফুট, মঞ্জুরুল বাছিদ ২,৩১৫ বর্গফুট এবং সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ২,০৪৯ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের ওই সব ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়ে।
তাতে বলা হয়, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘দিনের ভোট রাতে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত’ সচিব পদমর্যাদার ১২ কর্মকর্তাকে ‘পুরস্কৃত করতে’ শেখ হাসিনার আমলে পরিকল্পিতভাবে ফ্ল্যাট দেওয়া হয়।
এরপর এই অভিযোগ তদন্ত করে দুদক বলেছে, তারা ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করে।
দুদকের তদন্ত ও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ২৭৪তম বোর্ড সভায় ওই সব ফ্ল্যাটের বরাদ্দ বাতিল করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।