খাস কামরায় নয়, বিচারিক আদালতের আদেশ-রায় দিতে হবে প্রকাশ্য আদালতে
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

সরকারি কর্মচারীদের দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের রায় প্রকাশ

২০০৯ সাল থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগ রায় প্রকাশ করেছেন। এই রায়ের ফলে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের দেওয়া রায়ের ১৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল জানান, এই রায়ের ফলে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার বাধা দূর হলো। ফলে ১৫ লাখের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী উপকৃত হবেন।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পাওয়া সরকারি চাকরিজীবীরাও উচ্চতর গ্রেডের সুযোগ পাবেন বলে রায় দিয়েছিল আপিল বিভাগ।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার বিষয়ে একটি আদেশ জারি করা হয়।

ওই আদেশের বৈধতা নিয়ে সংশয় দেখা দিলে হাইকোর্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশটি অবৈধ ঘোষণা করেন। পরে সংক্ষুব্ধ সরকারি চাকরিজীবীরা হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন।

পরিপত্র অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীদের জন্য আর্থিক সুবিধাগুলো ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বরের আগে প্রযোজ্য হবে না—এমন শর্ত ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই শর্তের বৈধতা নিয়েও চ্যালেঞ্জ হয়।

সরকারি চাকরিতে বিশেষ করে নিচের স্তরের কর্মচারীদের পদোন্নতির সুযোগ সীমিত। তাই উচ্চতর গ্রেডের মাধ্যমে বেতন কাঠামোয় উন্নতি অনেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এই রায়ের ফলে এখন ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুটি উচ্চতর গ্রেড পাবেন। এতে তাদের আর্থিক সুবিধা ও ক্যারিয়ার উন্নয়নের সুযোগ বাড়বে।