সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর দ্বিতীয় সংশোধিত অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। বাসসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোন সরকারি কর্মচারী আন্দোলনে গেলে, অর্থাৎ নিয়ম লঙ্ঘন করে একজন আরেকজনকে কাজ থেকে বিরত রাখলে, বাধ্যতামূলক অবসরসহ চাকরি থেকে বরখাস্ত করা যাবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত অধ্যাদেশটি জারি করা হয় বুধবার। যেটি সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ নামে অভিহিত হবে।
বাসসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাধারণত সরকারি কর্মচারীরা নিজেরা কোন আন্দোলন করলে নিজেও কাজ থেকে বিরত থাকেন এবং অন্যজনকেও কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য চাপ দেন। অধ্যাদেশে সরাসরি আন্দোলনের কথা বলা না হলেও যেভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে, তাতে আন্দোলনকে বোঝায় বলে আইনজীবীদের অভিমত।
নতুন অধ্যাদেশের ৩৭ এর (গ) তে বলা হয়েছে, যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে কাজে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করলে সেটি সরকারি কর্মে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অসদাচরণ এবং এজন্য উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত যেকোনো দন্ডে দণ্ডিত হবেন।
আর উপ-ধারা (২) এ বলা হয়েছে, ‘(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত কোনো কর্মের জন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে নিম্নবর্ণিত যেকোনো দন্ড প্রদান করা যাবে, যথা: (ক) নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ; (খ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান; এবং (গ) চাকরি হতে বরখাস্ত।’
আরও পড়ুন : ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৭ ধারা : সিআর মামলায় ফরিয়াদির প্রতি অন্যায় চাপ
অধ্যাদেশে বলা হয়, ‘যেহেতু নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যসমূহ পূরণকল্পে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজনীয় এবং যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় আছে এবং রাষ্ট্রপতির নিকট তা সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান আছে; সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি নিম্নরূপ অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করলেন।’ এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে চলতি মাসের ৩ তারিখে সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে ‘সরকারি চাকরি (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
এর আগে ২২ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন দেয় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং (আইনি মতামত) নেওয়া সাপেক্ষে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
গেজেটে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ধারা ৩৭ক এর পরিবর্তে নিম্নরূপ ধারা ৩৭ক প্রতিস্থাপিত হবে, যথা—