চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জোর দিয়ে বলেছেন, পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের বিনিময়েও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমকে কেউ কিনতে পারবে না।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ তো দূরের কথা, তার ১৪ গোষ্ঠীরও ক্ষমতা হবে না আমাদের প্রসিকিউশন টিমকে টাকা দিয়ে কেনার। কেউ সম্পদ বা অন্য কিছুর প্রলোভন দেখিয়েও কিনতে পারবে না। ভয়ভীতি দেখিয়ে কেউ বিরত রাখবে—এমন শক্তিও পৃথিবীতে কেউ দেখাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।”
শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে’ আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তাজুল ইসলাম জানান, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি মামলার বিচার চলমান, এবং এসব মামলার বিচার দৃশ্যমান না হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, “আগামী ৩-৪ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী জবানবন্দি আদালতে দেবেন। সেদিন গোটা জাতি টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখবেন। সম্ভব হলে আদালতে আসবেন।”
তিনি আরও বলেন, “শুধু বাংলাদেশ নয়, আয়নার মতো পরিষ্কার করে দুনিয়ার কাছে আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হবো যে শেখ হাসিনা কী অপরাধ করেছেন, এসবের কী প্রমাণ ও তার কী শাস্তি হওয়া উচিত।”
অনেকে প্রশ্ন করছেন, এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি কেন। এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, “গণহত্যার মামলার বিচার কখনো এক বছরে সম্পন্ন করা যায় না। যদি যেতো, তাহলে সেটা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মতো বিচার হতো।”
তিনি বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি হবে না। শহিদদের স্বপ্ন আমাদের দিয়েই বাস্তবায়িত হবে ইনশাআল্লাহ।”