ঢাকা, ২৮ জুলাই ২০২৫: জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিপক্ষের শুনানির জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
আজ সোমবার ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী শুনানিতে তিনি মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এদিন সকাল ১০টার পর কারাগার থেকে গ্রেপ্তার চার আসামি—এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এর আগে, গত ২২ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ পলাতক ২৪ আসামির জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন এবং অভিযোগ শুনানির জন্য ২৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেন। সেদিন প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মঈনুল করিম।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, মামলার ৩০ আসামির মধ্যে এখনও ২৪ জন পলাতক রয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তারা আদালতে হাজির হননি। ফলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে।
পলাতকদের পক্ষে চারজন আইনজীবী স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। অর্থাৎ ছয়জন করে আসামির জন্য একজন আইনজীবী দায়িত্ব পালন করবেন।
এর আগে ১৩ জুলাই একই ঘটনার আরেক মামলায় গ্রেপ্তার রাসেল ও পারভেজকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশও দেওয়া হয়।
গত ৩০ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন এবং পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তারও আগে, ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।