নওগাঁয় ভালোবাসা দিবসের পরের দিন মাদক মামলার শিশুদের নিয়ে বসলেন বিচারক
নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল

নওগাঁয় হত্যা মামলায় এক শিশুকে দশ বছর আটকাদেশ

নওগাঁ জেলার সাপাহার থানার পিছলডাঙ্গা গ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক কিশোরকে আছাড় মেরে হত্যার দায়ে সুমন (ছদ্মনাম), নামে ১৬ বছর বয়সী এক শিশুকে দশ বছর আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকালে নওগাঁ শিশু আদালত-২ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।

বর্তমানে ২৭ বছর বয়সী এই অভিযুক্তকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৭ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ জেলার সাপাহার থানার বিদ্যানন্দী গ্রামের বিননকান্দেরা মাঠে পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়ায় জড়ান কুদরত আলী ও সুমন।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে কুদরতকে পাজাকোলা করে আছাড় মেরে ফেলে। এতে কুদরত মারাত্মক আহত হন।

তাকে দ্রুত সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুদরতকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত কুদরতের পিতা মোজাফ্ফর সাপাহার থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

আদালত মামলায় মোট ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। সকল প্রমাণ-সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচারক রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন এবং আজ অভিযুক্ত সুমনের উপস্থিতিতে দশ বছরের আটকাদেশের রায় প্রদান করেন।

যেহেতু বর্তমানে সুমনের বয়স ২৭, তাই তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলি রেজাউল করিম। তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।