নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার বাগমার গ্রামে ২০১৪ সালের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়ার দায়ে একই গ্রামের এক মেয়ে শিশুকে পাঁচ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে নওগাঁ শিশু আদালত-২ এর বিচারক ও জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক ওই নারীকে (বর্তমান বয়স ২৬) জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগমার গ্রামের ছন্দা (ছদ্মনাম), যিনি তখন ১৬ বছর বয়সী শিশু, তার শয়নঘরে একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে রাবিককে (স্থানীয়ভাবে বারিক নামেও পরিচিত) ডেকে নিয়ে যান।
সেখানেই রাবিকের পুরুষাঙ্গের চার ভাগের তিন ভাগ কেটে ফেলা হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল তাকে হত্যা নিশ্চিত করা।
পরবর্তীতে রাবিকের পিতা পত্নীতলা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় এবং অভিযুক্ত শিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আদালত মামলাটির ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করে। মঙ্গলবার অভিযুক্ত ছন্দার উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে বিচারক তাকে পাঁচ বছরের আটকাদেশ প্রদান করেন।
যেহেতু বর্তমানে অভিযুক্ত নারী প্রাপ্তবয়স্ক, তাই তাকে সাজা পরোয়ানামূলে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌঁসুলি রেজাউল করিম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আঃ আজিজ পিন্টু জানিয়েছেন, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।