সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (ফাইল ছবি)

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আব্দুল কাইয়ুম আহাদ হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জামিন শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এই আদেশ দেন।

খায়রুল হকের পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন। তিনি বলেন,

খায়রুল হক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি। এই মামলা উদ্দেশ্যমূলক ও হয়রানিমূলক। গত ২৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অথচ ঘটনার তারিখ ছিল ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই। প্রায় এক বছর পরে ২০২৫ সালের ৬ জুলাই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। খায়রুল হক ওই দিন আইন কমিশনের অফিস থেকে পুলিশ পাহারায় বাসায় ফিরেছেন; যাত্রাবাড়ীতে যাননি। তার বয়স ৮১ বছর এবং তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না।

তবে বিচারক শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় আব্দুল কাইয়ুম আহাদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় এবং টিআর শেল ও সাউন্ড বোম ব্যবহার করে হামলা করা হয়

ঘটনার সময় আহাদের মুখে ও বুকে গুলি লাগে এবং তিনি যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা পুলিশ বক্সের সামনে লুটিয়ে পড়েন। তখনকার ওসি আবুল হোসেন আরও দু’পায়ে ব্রাশ ফায়ার করেন। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা আহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

২০২৫ সালের ৬ জুলাই আহাদের বাবা মো. আলা উদ্দিন বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ মোট ৪৬৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি এবং অজ্ঞাতনামা ১-২ হাজার ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এই মামলার এজাহারনামীয় ৪৪ নম্বর আসামি