খাস কামরায় নয়, বিচারিক আদালতের আদেশ-রায় দিতে হবে প্রকাশ্য আদালতে
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টে অস্ত্রসহ প্রবেশ: বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিন শিকদারসহ দুইজন আটক

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বৈধ অস্ত্রসহ প্রবেশের সময় বিএনপির বরিশাল মহানগর শাখার সদস্য সচিব মো. জিয়াউদ্দিন শিকদার এবং এক প্রেস ব্যবসায়ী মোল্লা মোসলেহ এলাহীকে আটক করেছে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)

রোববার, ৩ আগস্ট, পৃথক সময়ে তাদের আটক করা হয়। উভয়ের কাছেই নবায়ন করা বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আটক দুজনের পরিচয় ও কারণ

  • মো. জিয়াউদ্দিন শিকদার: বিএনপির বরিশাল মহানগর শাখার সদস্য সচিব। ছাত্রদলের একটি সমাবেশে অংশ নিতে ঢাকা এসেছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন বেঞ্চ অফিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করেন।

  • মোল্লা মোসলেহ এলাহী (৫৭): রাজধানীর সূত্রাপুরের রূপচান লেনের বাসিন্দা ও পেশায় প্রেস ব্যবসায়ী। তিনি কোর্টে গিয়েছিলেন এক আত্মীয়ের জামিনের বিষয়ে

পুলিশ ও কোর্ট প্রশাসনের পদক্ষেপ

  • সকাল ১০টার দিকে মোল্লা মোসলেহ এলাহীকে আটক করে ডিএমপির সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়

  • অন্যদিকে, জিয়াউদ্দিন শিকদারকে দুপুরে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানিয়েছে।

পুলিশ বলছে—

আটকের পর দুজনই জানান, তারা জানতেন না যে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বৈধ অস্ত্র নিয়েও প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই বিষয়ে সচেতনতার অভাব ছিল বলে তারা দাবি করেন।

আইনি দৃষ্টিকোণ

সুপ্রিম কোর্ট একটি উচ্চ নিরাপত্তা সংরক্ষিত এলাকা, যেখানে সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনো অস্ত্র – বৈধ বা অবৈধ – বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

বাংলাদেশের অস্ত্র আইন অনুযায়ী, নির্দিষ্ট কিছু স্থান যেমন আদালত প্রাঙ্গণ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়, সামরিক এলাকা ইত্যাদি – অস্ত্র নিষিদ্ধ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। এমন এলাকায় অস্ত্র বহন আইন লঙ্ঘন বলে গণ্য হয়, যদিও অস্ত্রের লাইসেন্স বৈধ থাকে।

পটভূমি ও প্রেক্ষাপট

সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইতিমধ্যে বেশ কড়া। বিগত কিছু ঘটনায় অপ্রত্যাশিত আচরণ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চ পর্যায়ের মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

এই ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নতুন করে তল্লাশি ও প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।