আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, “নানান জন নানা কথা বললেও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল বলেই জুলাই আন্দোলন সফল হয়েছে। মানুষের এই চাওয়াকে পূর্ণতা দিতে পারে কেবল সুশিক্ষা। সুশিক্ষা না থাকলে কোনো কিছুই স্থায়ী হবে না।”
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ শীর্ষক সেমিনারে সোমবার (৪ আগস্ট) তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “বাংলাদেশে মোটামুটি চারটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। বাকিগুলো ছিল ত্রুটিপূর্ণ। ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল নজিরবিহীন, কারণ তখন ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন, যা পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি। আর ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল, ২০২৪ সালে নিজেদের মধ্যে ভোট করে রেকর্ড করেছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “শেখ হাসিনা নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে গেছেন, এবং এই মিথ্যাচারকে শিল্পে পরিণত করেছেন।”
আইন উপদেষ্টা বলেন, “ভালো সংবিধান থাকা সত্ত্বেও অনেক দেশ ভালো নেই। কারণ সংবিধানের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধি প্রয়োজন। রাষ্ট্র মেরামতের মাধ্যমেই কেবল শহিদদের প্রতি সম্মান জানানো সম্ভব।”
তিনি যোগ করেন, “মানুষের আবেগের বিচ্ছুরণ ও বিক্ষুব্ধ জনতার স্রোতের দিকে তাকালে দেশ গঠন সহজ হতো। শেখ হাসিনা তরুণ প্রজন্মকে ভুলপথে পরিচালিত করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের কৃতদাস বানিয়ে অত্যাচার চালানো হয়েছে।”
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিবেশী দেশ ভারতকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে। শেখ হাসিনা দেশকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে ভারতকে একের পর এক সুবিধা দিয়েছেন। তার আমলে সীমান্তে নির্বিচারে হত্যা, নদী ধ্বংস এবং ভারতকে সড়ক তৈরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “জুলাই শহিদদের সাহসিকতা আমাদের প্রেরণা। তাদের চেতনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হবে। এই আন্দোলন সুশিক্ষা, আত্মশুদ্ধি ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য অব্যাহত থাকবে।”