রংপুর, ৯ আগস্ট — প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
আজ শনিবার (৯ আগস্ট) রংপুরে বিভাগের আট জেলার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া হবে না। যদি কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হয়, তাহলে আশেপাশের একাধিক কেন্দ্র বা পুরো আসনের ভোট স্থগিত করা হবে।”
তিনি আরও জানান, এক বা একাধিক কেন্দ্রে গোলযোগ দেখা দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ভোট বাতিল করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে নতুন তারিখে ভোট গ্রহণ করা হবে।
মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক বার্তা দেওয়ার পর সিইসির এটি মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে প্রথম মতবিনিময়।
বৈঠকে তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, “আমরা সচেতনতা কর্মসূচি হাতে নেবো, জনগণকে আশ্বস্ত করবো এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবো।”
সিইসি কেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় নতুন নিয়ম যেমন নারী-পুরুষের আলাদা সারি এবং বয়সভিত্তিক পৃথক লাইনের প্রস্তাবের কথাও উল্লেখ করেন।
অস্ত্র নয়, বড় চ্যালেঞ্জ এআই
সিইসির মতে, অস্ত্রের চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর অপব্যবহার। তিনি বলেন, “প্রশিক্ষণহীন ও অপেশাদার কিছু অনলাইন কনটেন্ট নির্মাতা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
প্রধান চ্যালেঞ্জ আস্থা ফিরিয়ে আনা
সিইসি স্বীকার করেন যে, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা কমে গেছে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে সেই আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।