রাজধানীর শ্যামপুর থেকে ২০ বছর আগে পাচারের সময় উদ্ধার হওয়া স্বেত পাথরের গৌতম বুদ্ধের মূর্তিটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন কি না, তা পরীক্ষার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী।
প্রায় ৬ কেজি ওজন ও ১৩ সেন্টিমিটার উচ্চতার মূর্তিটি পরীক্ষার জন্য পাঠানোর বিষয়টি ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন চৌধুরি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজন হলে পরীক্ষার সময় মূর্তির সামান্য অংশ ভাঙা যেতে পারে, তবে সম্ভব হলে সেটি অক্ষত রাখা হবে। ডিসি প্রসিকিউশন ও মালখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাক্ষী হাসিবুল হাসান সুমির মাধ্যমে নিরাপদে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৭ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ শ্যামপুরের মীর হাজারিবাগ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকারীদের কাছ থেকে গৌতম বুদ্ধের মূর্তিসহ শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, পাচারকারীরা দেশের বিভিন্ন মন্দির ও প্যাগোডা থেকে প্রত্নবস্তু চুরি করে বিদেশে পাচার করত।
বর্তমানে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।