এবার অর্থপাচার মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু
পাপিয়া দম্পতি (ফাইল ছবি)

অবৈধ সম্পদ মামলায় পাপিয়া ও স্বামীর সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে সাড়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। জামিনে থাকা পাপিয়া আদালতে হাজির হন, আর সুমনকে কারাগার থেকে আনা হয়।

দুদকের পক্ষ থেকে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর মামলাটি অধিকতর শুনানির আবেদন করেন। পাপিয়া ও সুমনের পক্ষে আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া শুনানি করেন।

আদালত প্রাথমিকভাবে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে আসামিপক্ষের আবেদনে বিশেষ বিবেচনায় পাপিয়াকে কারাগারে না পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় সুমনকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।

আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, তাদের ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০২৪ সালের ২০ জুন পাপিয়া মুক্তি পান, কিন্তু সুমন তখনও কারাগারে ছিলেন। আদালতের দেওয়া সাজা তারা ইতোমধ্যেই ভোগ করেছেন। তাই পাপিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়নি। রায়ের পর্যবেক্ষণ দেখে আপিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়, পাপিয়া ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলে অবস্থান করে বিভিন্ন খাতে মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকা নগদ পরিশোধ করেন, যার বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। এছাড়া ৪০ লাখ টাকার শপিং, বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ, গাড়ির ব্যবসায় ১ কোটি, কার ওয়াশে ২০ লাখ, ব্যাংক হিসাবে জমা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা—সবই অবৈধ উৎসের অর্থ বলে দুদক জানায়।

এছাড়া র‍্যাব অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, সুমনের নামে ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়, যার বৈধ উৎসও পাওয়া যায়নি।