কেরানীগঞ্জের আগানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে কোনো প্রকার নোটিশ বা অব্যাহতি না দিয়েই তার পদে সাবেক প্রধান শিক্ষক নিজের স্ত্রীকে নিয়োগ দিয়েছেন—এমন অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ঢাকার কেরানীগঞ্জ সহকারী জজ দেবী রাণী রায়ের আদালতে স্কুলের সাবেক শিক্ষক নাসির উদ্দিন এ মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আরিফুল ইসলাম জানান, আদালত মামলার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানির দিন আগামী ২৬ আগস্ট ধার্য করেছেন।
অন্য বিবাদীরা হলেন—বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জাকির আহমেদ, সাবেক প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন, তার স্ত্রী শিক্ষিকা রাসিদা আক্তার, উপ-আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ঢাকার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং কেরানীগঞ্জের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, ২০০৫ সালের মার্চ মাসে সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নাসির উদ্দিন নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ২০ মার্চ সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যান।
এরপর বিদ্যালয়ের সভাপতি জাকির আহমেদ ও প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জল হোসেন অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দিয়ে তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন।
২০১৩ সালের মার্চে আবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই পদে তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী রাসিদা আক্তারকে নিয়োগ দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করা হয়।
বাদীর অভিযোগ, তার নিয়োগসংক্রান্ত কাগজপত্র জাল-জালিয়াতি করে বেআইনিভাবে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এর ফলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।