পটুয়াখালী জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. রুহুল আমিনের নিয়োগ বাতিল করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৪ আগস্ট) আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পটুয়াখালী জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর পদে তার নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশ বাতিল করা হলো এবং এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে গত শনিবার (২৩ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল তার আইনজীবী সনদ স্থগিত করে।
বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সংঘটিত একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন নিশ্চিত করতে অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ ও মামলার নথি পাঠান।
এর আগে হোয়াটসঅ্যাপে তিনি বিচারকের কাছে আসামির জামিনের জন্য তদবিরও করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় বিচারক নিলুফার শিরিন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে ঘুষ প্রদানের সত্যতা পাওয়া যায়।
ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাকে তাদের রোকন পদ থেকে বহিষ্কার করে।
রাজনৈতিক ও পেশাগত উভয় ক্ষেত্রেই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে তিনি কার্যত সব ধরনের দায়িত্ব ও পদ থেকে অপসারিত হলেন।