প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক (ফাইল ছবি)

গুম প্রতিরোধে নতুন আইন: নীতিগত অনুমোদন দিল উপদেষ্টা পরিষদ

গুমের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে কঠোর আইন আনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে গুমের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

বৈঠকটি আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাদেশে গুমকে “চলমান অপরাধ” হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন বা ব্যবহারকে স্পষ্টভাবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

এ ছাড়া—

  • জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম–সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

  • বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে।

  • অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা থাকবে।

  • ভুক্তভোগী, তথ্য প্রদানকারী ও সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।

  • ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ ও আইনগত সহায়তার নিশ্চয়তার বিধান রাখা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, “আজ কেবল নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি নিয়ে সামনে আরও আলোচনা হবে এবং পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।”

তিন স্থলবন্দর বন্ধ, একটির কার্যক্রম স্থগিত

বৈঠকে আরও তিনটি স্থলবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো:

  • নীলফামারীর চিলাহাটি স্থলবন্দর

  • চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর

  • রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর

এ ছাড়া হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দর-এর অপারেশনাল কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হবে।

লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত দিবস ঘোষণা

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৭ অক্টোবর লালন সাঁইয়ের তিরোধান দিবসকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।