সিরাজ প্রামাণিক : পুরনো দলিল দিয়ে জমির নামজারি করতে আইনে বাঁধা নেই। অথচ পুরনো দলিলের ভিত্তিতে নামজারি করতে গিয়ে নানা জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেক ভুক্তভোগী। এই সমস্যা থেকে সহজে সমাধান পেতে মাত্র একটি টেকনিক ব্যবহার করায় যথেষ্ট।
অনেকেই পুরনো আর, এস দাগ অনুযায়ী করা দলিল দিয়ে নামজারি করতে গিয়ে ভূমি অফিসগুলো রেকর্ড সংশোধনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে সময় ও অর্থ উভয়ই নষ্ট হয়ে থাকে। যদি জমিটি আপনার বাবা বা দাদা পুরনো রেকর্ড অনুযায়ী ক্রয় করে থাকেন এবং তা এখনো বি, এস বা আর, এস রেকর্ডে প্রতিফলিত হয়নি, তাহলে খাজনা প্রদান কিংবা জমি হস্তান্তর করতে সমস্যা হতে পারে।’ এই সমস্যা সমাধানে প্রথমত, দলিল যার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে, তার নাম বি, এস বা আর, এস রেকর্ডে থাকতে হবে।
এরপর দলিল অনুযায়ী নির্দিষ্ট দাগের সূচি উত্তোলন করে অনলাইনে মিউটেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে দাগের সূচি সংযুক্ত করে তা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে আবেদনকারীর ছবি, স্বাক্ষর, মূল দলিলের অনুলিপি, বায়া দলিল, খতিয়ানের অনুলিপি, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণপত্র (যেমন ডিসিআর), ওয়ারিশান সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), এবং বণ্টননামা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আপলোড করতে হবে।
এরপর ভূমি কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে জমি ক্রয়ের বিষয়টি স্পষ্ট করলে, তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি প্রতিবেদন পাঠাবেন। শেষ ধাপে, নির্ধারিত শুনানির তারিখে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত হয়ে এসিল্যান্ডকে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝাতে পারলেই নামজারি সম্পন্ন হবে।
লেখক: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, আইনগ্রন্থ প্রণেতা ও পিএইচ. ডি ফেলো। ইমেইল: seraj.pramanik@gmail.com