স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শান্তি ও উন্নয়নের জন্য ন্যায়বিচার’ শীর্ষক জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ সম্মতি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবটি আমার খুব ভালো লেগেছে। এটা একটা নতুন প্রস্তাব। অনেক বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে, এটা হবে না কেন?
এর আগে, বিচার বিভাগীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমি বিশ্বাস করি আইন শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো একটি স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে ‘বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটি’ নামের বিশেষায়িত আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি।
প্রধান বিচারপতির দেয়া সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে যা যা করণীয় তা করে ফেলেন। আমি বঙ্গবন্ধু আইন বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব।
সম্মেলনে সবারই ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর সকল নাগরিক যাতে আইগত সহায়তা পায় সেজন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা- ন্যাশনাল লিগাল এইড সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।
এছাড়াও সম্মেলনে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায়ও রায় লেখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক ও মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সরোয়ার। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার জনারেল মোহাম্মদ আলী আকবর।
সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্টের বিচারপতি এবং সারাদেশ থেকে আগত বিচারকগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিচার সংক্রান্ত কাজ ডিজিটালকরণ, কার্যকর আদালত প্রশাসন পরিচালনাসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং সারাদেশের নিম্ন আদালতের বিচারকগণ সম্মেলনে অংশ নেন।