মৎস্য আহরণ আইন ভঙ্গ করলে বিদেশি মৎস্য নৌযানকে সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রেখে সামুদ্রিক মৎস্য আইন খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘সামুদ্রিক মৎস্য আইন- ২০১৯’ শীর্ষক প্রস্তাবের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রী বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
খন্দকার আনোয়ারুল জানান, দ্য মেরিন ফিসারিজ অর্ডিনেন্স ১৯৮৩-কে উচ্চ আদালতের নির্দেশে বাংলায় করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল নতুন আইন করতে, যেগুলোর প্রয়োজন নাই, সেগুলো বাতিল করে দিতে হবে। এখানে প্রায় ৯টি বিষয় ছিল। এর মধ্যে নৌযান কেমন হবে, তার বিধিবিধান আছে, লাইসেন্স দিতে হবে। এত দিন এক বছর পর পর মাছধরা নৌকাগুলোকে লাইসেন্স নিতে হতো, এখন থেকে দুই বছর পর পর লাইসেন্স নিতে হবে। কারণ এক বছর পর পর লাইসেন্স নিতে হলে তাদের আসতে হবে। এতে ফিশিং বোটের মালিকদের হয়রানি হয়। সেটা কমাতে লাইসেন্সের মেয়াদ দুই বছর করা হয়েছে।
‘বাণিজ্যিক ট্রলার কীভাবে আমদানি করা হবে, নিরাপত্তার বিষয় কি হবে, এছাড়া অনেকগুলো বিষয় রয়েছে, যেমন- আমাদের দেশি ট্রলারে যারা মাছ ধরবে, তারা অপরাধ করলে কী সাজা দেওয়া হবে, আমাদের সীমানায় বাইরেরে লোকজন এসে মাছ ধরলে কী হবে, আইনে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কোন কোন কোর্টে কী করা হবে তাও বলা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের শিডিউলে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা গেলে তাৎক্ষণিক সাজা দেওয়া যায়। তাৎক্ষণিক সাজা দেওয়া গেলে ইমপ্যাক্টটা ভালো হবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল আরও জানান, এছাড়া সামুদ্রিক মৎস্য আইন-২০১৯-এর ধারা ৫-এর ‘চ’-তে বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃক মৎস্য আহরণ কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কতিপয় কাজকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল, পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এসব অপরাধের সাজা ছিল এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং তিন বছরের জেল এবং সর্বনিম্ন ২ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা। এখানে অনেকগুলো প্রভিশন আছে।